বিএসসি ইন নার্সিং; ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এই তিনটি নার্সিং কোর্স সম্পন্ন হওয়ার পরে, Bangladesh Nursing and Midwifery Council কর্তৃক অনুষ্ঠিত রেজিষ্ট্রেশন/লাইসেন্সিং/RN পরীক্ষায় পাশ করলে/কৃতকার্য হলে, পরবর্তীতে সরকারি/বেসরকারি জবের জন্য আবেদন করা যায়। তবে, সরকারি নার্সিং জবের জন্য আলাদা MCQ, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা সহ কতো গুলো প্রসেস রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের চাহিদা ও সরকারের অনুমতির উপর নির্ভর করে প্রতি ১/২ বছর পরপর নার্সিং/মিডওয়াইফারি জবের সারকুলার/বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। জবের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, এবং উল্লেখিত পরীক্ষায় ভালো করলে অবশ্যই জব পাওয়া যায়। তবে, নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করার পরপরি বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকে জব করে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে ভালো হয়। পাশাপাশি সরকারি জবের জন্য প্রস্তুতি নিলেই ভালো হবে। উল্লেখ্য, সরকারি নার্সিং জব পাওয়ার জন্য সরকারি নার্সিং কলেজে/ইন্সটিটিউটে পড়তেই হবে এমন কোনো নিয়ম/বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো বেসরকারি নার্সিং কলেজ/ইন্সটিটিউটে পড়েও সরকারি জবের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাব, জব পাওয়া যাবে।
- কোর্স শেষে সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র ষ্টাফ নার্স পদে ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ।
- সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ইনিস্টিটিউটসমূহে চাকরির সুযোগ।
- নার্সিং কলেজ সমূহে শিক্ষক পদে যোগদান।
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চকরি।
- স্কুল হেল্থ জব।
- কোর্স শেষ করে ২ বছরে চাকুরির অভিজ্ঞতা হলে ৪ বছর পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ এবং ২বছরে কোর্স সম্পন্ন।
- বিভিন্ন NGO তে বড় বড় চাকরি ( WHO, BRAC,ICDDRB)
- প্রশিক্ষণ শেষে দেশে বিদেশে চাকরির সুযোগ।আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে দেশের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালসহ প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট এসব প্রতিষ্ঠানে তাই নার্সদের চাহিদাও দিনদিন বেড়ে চলেছে।